ঢাবি শিক্ষার্থী খাদিমুল তার বাবাকে বাঁচাতে ফেসবুকে লিখেনঃ
“অনেক হারিয়েছি,আর হারাতে প্রস্তুত নই!
টাকার জন্য থেমে যেতে পারে না জীবন।
আমি মোঃ খাদিমুলইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। আর্থিক টানাপড়েন এর মাঝেও পরিবারের সমস্ত খরচ চালিয়ে নিচ্ছিলেন আমার বাবা। পিতার পরম স্নেহ ও দায়িত্ববোধ থেকে কখনো বুঝতে দেন নি কোন কষ্ট।কিন্তু আজ সেই সংগ্রামী বাবার জীবনই বিপন্ন। থমকে দাঁড়িয়েছে আমার পরিবারের স্বপ্ন।
আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবৎ মূত্রথলিতে প্রাণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত। এত দিন যাবৎ ব্যয়বহুল কেমোথেরাপি চালিয়ে নিতে গিয়ে যতটুকু সহায় সম্বল, জমিজমা ছিল সব বিক্রয় করে আজ পরিবারটি কে নিয়ে পথে বসে আছি ।ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গেছে ৫ লাখ টাকা।
চিকিৎসকরা বলেছে মূত্রথলিতে অপারেশন করে কেটে না ফেললে বাঁচানো যাবে না আমার বাবাকে। এজন্য প্রয়োজন আরো ৪ লাখ টাকা।
কিন্তু এই মুহূর্তে এই অর্থ নেই আমার পরিবারের। তাহলে কি বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে আমার বাবা?ক্যাম্পাস খোলা থাকলে বন্ধু বান্ধবী সহ সরাসরি একটি ক্যাম্পেইন চালিয়ে এই অর্থ জোগাড় করতে পারতাম। কিন্তু এখন সেটা অসম্ভব।
তাই আমার বাবাকে বাঁচাতে আমার বন্ধু, বড় ভাই, ছোট ভাই সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। আজ আমার বাবার অসুস্হতা, আল্লাহ না করুন আমাদের কারো পরিবারেও এমন হতে পারে। টাকার জন্য যদি পিতার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমরা প্রত্যেকেই আমাদের বিবেকের জায়গায় অপরাধী হয়ে থাকব।
তাই,বিনীতভাবে সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে প্লিজ আমার বাবাকে বাঁচাতে নিজের ১/২ দিনের হাতখরচ বাঁচিয়ে হলেও সাধ্যমত সবাই যেন এগিয়ে আসেন।
আমাদের প্রত্যেকের সাহায্যে যেমন একজন পিতার জীবন বাঁচতে পারে,তেমনি পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের মানবিক পদক্ষেপকে কবুল ও মঞ্জুর করে নিবেন ইনশাল্লাহ।
সাহায্য প্রেরণের জন্য যোগাযোগ:
বিকাশ – 01704338420
রকেট- 017043384202
নগদ- 01893198896”
বুলেটিনিউজ২৪.কমে এর পক্ষ থেকে আমরা উনার সুস্থতা কামনা করি।